You are currently viewing The Holy Grail of Mathematics

The Holy Grail of Mathematics

কুরআন শরীফ, কাবা শরীফ, নূর নবী (স.)-এর রওজা মোবারক মুসলিমদের কাছে মহা পবিত্র বস্তু, বাইবেল খ্রিস্টানদের কাছে মহা পবিত্র বস্তু, গীতা হিন্দুদের কাছে মহা পবিত্র বস্তু আর রীমান হাইপোথিসিস হলো গণিতের মহা পবিত্র বস্তু। মানব সভ্যতার শুরু হতে এ পর্যন্ত ৩১৫০০ বছরের১ মধ্যে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গণিত সমস্যা হলো রীমান হাইপোথিসিস। রীমান অনুমানের থেকে বড় কোন গণিত সমস্যা আজও মানুষ খুঁজে পায়নি।

মৌলিক সংখ্যার বন্টন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ১৮৫৯ সালে জার্মানীর এক অসাধারণ গাণিতিক প্রতিভা বার্নহার্ড রীমান এই রীমান হাইপোথিসিস উদ্ভাবন করেন। বিগত ১৬২ বছর ধরে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গণিতবিদরা জীবনভর চেষ্টা করেও এই অনুমানটি প্রমাণ করতে পারেননি। ২০০০ সালে দি ক্লে ম্যাথমেটিক্স ইনস্টিটিউট এই অনুমানটি সত্য প্রমাণের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮ কোটি টাকা) ঘোষণা দেয়ার পর থেকে রীমান অনুমানের ওপর মানুষের আগ্রহ অচিন্তনীয়ভাবে বেড়ে গেছে।

রীমান অনুমানের ওপর ইউটিউবে শত শত ভিডিও, ইন্টারনেটে হাজার হাজার নিবন্ধ-পুস্তক, কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নই প্রমাণ করে এর অসীম গুরুত্ব। আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে রীমান হাইপোথিসিসের মতো অন্য কোন গণিত সমস্যার ওপর এতো বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি। রীমান অনুমান কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? কারণ, এই অুনমানের সত্যতার ওপর নির্ভর করে আছে গণিতের শত শত অনুমানের সত্যতা। অর্থাৎ রীমান অনুমান যদি সত্য হয়, তবে সংশ্লিষ্ট সেই শত শত অনুমানগুলো সংক্রিয়ভাবে সত্য প্রমাণিত হয়ে যাবে। তাই গণিতের এতোগুলো প্রমাণ যার ওপর নির্ভর করে আছে সেই তো হবে গণিতের মহা পবিত্র বস্তু (The Holy Grail of Mathematics )।

Spread the love